#Nanotechnology
✨“There’s Plenty of Room at the Bottom”✨
-Richard Feynman
⁉️ন্যানো টেকনোলজি অথবা ন্যানো প্রযুক্তি কি?
▪️পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিকে ন্যানো প্রযুক্তি বা টেকনোলজি বলে।
▪️আবার এটাও বলা যায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার আকৃতির কোন কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করাকে ন্যানোটেকনোলজি বলে।
🔎ন্যানো কী?
▪️'ন্যানো (Nano)' শব্দটি গ্রিক 'Nanos (ন্যানোস)' শব্দ থেকে এসেছে, যার আভিধানিক অর্থ Dwarft (বামন বা জাদুকরী ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষুদ্রাকৃতির মানুষ)।
▪️'ন্যানো' হলো মূলত একটি পরিমাপকের একক। এটি ১ মিটারের এক বিলিয়ন ভাগ বা এক মিলিমিটারের এক মিলিয়ন ভাগ-এর এক ভাগ।
🤵♂️ন্যানো টেকনোলজির জনক কে?
🔸১৯৫৯ সালে আমেরিকান বিখ্যাত Richard Feynman (রিচার্ড ফাইনম্যান) ফিজিক্যাল সোসাইটি (এপিএস) সভায় একটি বক্তৃতা দেন, যেখানে তিনি নতুন উপাদান এবং ডিভাইস তৈরির জন্য পৃথক পরমাণু এবং অণুগুলিকে ম্যানিপুলেট এবং সাজানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেন, "There’s Plenty of Room at the Bottom"। তার উক্তিকেই ন্যানো প্রযুক্তির সূচনা বিন্দু হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই রিচার্ড ফাইনম্যান- কে ন্যানো টেকনোলজির জনক বলা হয়। পরবর্তীতে, ১৯৭৪ সালে 'ন্যানো' শব্দটি সামনে নিয়ে আসেন একজন জাপানি বিজ্ঞানী, যাঁর নাম Norio Taniguchi (নোরিও তানিগুচি)। তিনি সর্বপ্রথম 1974 সালে 'ন্যানোটেকনোলজি' শব্দটি ব্যবহার ও সংজ্ঞায়িত করেন।
🧩ন্যানো টেকনোলজিতে কয় ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
💠ন্যানো টেকনোলজিতে দুই ধরনের পদ্ধতি প্রধানত ব্যবহার করা হয়। তা হলো:
1️⃣ Bottom-up (বটম-আপ)
2️⃣ Top-down (টপ-ডাউন)
🔹Bottom-up (ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ): এই পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আণবিক উপাদান থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় কোনো জিনিস তৈরি করা হয়।
🔹Top-down (বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র): এই পদ্ধতিতে একটু বড় আকৃতির বস্তু থেকে শুরু করে তাকে ভেঙে ছোট করতে করতে বস্তুকে ক্ষুদ্রাকৃতির আকারে পরিণত করা হয়। আমাদের বর্তমান ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি হলো 'Top-down' প্রযুক্তির।
⚙️ন্যানো টেকনোলজির আমাদের জীবনে কি কি সুবিধাজনক কাজে ব্যবহৃত হয়?
🔸কম্পিউটার এর ভিতর যে প্রসেসর আছে, তা অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ন্যানোমিটার স্কেলের সার্কিট দ্বারা তৈরি। আর তাতে ব্যবহৃত হচ্ছে ন্যানোটেকনোলজি। ন্যানো টেকনোলজির প্রয়োগের ফলে উচ্চগতির, দীর্ঘস্থায়িত্বের ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রসেসর তৈরি করা যাচ্ছে। এছাড়া ন্যানো টেকনোলজির প্রয়োগের ফলে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের তথ্য সংরক্ষণের ক্ষমতাও দিন দিন বাড়ছে।
🔸ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি আকারে ছোট, ওজনে হালকা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হচ্ছে।
🔸কম খরচে জ্বালানি উৎপাদন, জ্বালানি উৎসের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ফুয়েল তৈরির কাজে, যেমন- হাইড্রোজেন আয়ন থেকে ফুয়েল, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সৌরকোষ তৈরির কাজে এবং বিভিন্ন প্রকার ব্যাটারির জন্য ফুয়েল সেল তৈরিতে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে।
🔸বিভিন্ন খাদ্যজাত পণ্যের প্যাকেজিং, খাদ্যে স্বাদ বিদ্যমান রাখতে ও বিভিন্ন ধরনের স্বাদ-গন্ধ খাবারে যোগ করতে, খাদ্যের গুণাগুণ রক্ষার্থে ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যাদি তৈরিতে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে।
🔸ন্যানো রোবট ব্যবহার করে অপারেশন করা, যেমন- এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে সরাসরি রোগাক্রান্ত সেলে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ন্যানো ক্রায়োসার্জারি, ডায়াগনোসিস করা, যেমন- এন্ডোস্কপি, এনজিওগ্রাম, কলোনোস্কপি ইত্যাদি।
🔸বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী যেমন- ক্রিকেট, টেনিস বলের স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য, ফুটবল, গলফ বলের বাতাসে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য, র্যাকেটের শক্তি ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে।
🔸বস্ত্র শিল্পে কাপড়ের ওজন ও ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে।
🔸ন্যানো টেকনোলজির সাহায্যে বিভিন্ন কৃত্রিম অঙ্গ-পতঙ্গ তৈরি সম্ভব।
🔸প্রসাধনীতে জিংক-অক্সাইড এর ন্যানো পার্টিকেল যুক্ত হওয়ায় ত্বকের ক্যান্সাররোধ করা সম্ভব হয়েছে। সেই সাথে সানস্ক্রিন ও ময়েশ্চারাইজার তৈরির কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ তৈরির ক্ষেত্রে এবং এন্টি-এজিং ক্রিম তৈরিতেও ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়।
🔸শিল্পকারখানা হতে নির্গত ক্ষতিকর রাসায়নিক বর্জ্যকে ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহার করে অক্ষতিকর বস্তুতে রূপান্তর করে পানিতে নিষ্কাশিত করা।
যেমন- ট্যানারি শিল্পের বর্জ্যকে এই প্রযুক্তির সাহায্যে দূষণমুক্ত করে নদীর পানির দূষণ প্রতিরোধে সহায়তা করা।
এছাড়া, গাড়ি ও শিল্পকারখানার নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়াকে ন্যানো পার্টিকেলের সহায়তায় রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে দূষণমুক্ত বা অক্ষতিকর গ্যাসে রূপান্তর করে বায়ু দূষণ রোধ করা যায়।
🔸ন্যানো টেকনোলজির প্রয়োগের ফলে উৎপাদিত ন্যানো রোবট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কার্যকরীভাবে ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে।
🔸মহাকাশ অভিযানে ব্যবহৃত বিভিন্ন নভোযানকে হালকা করে তৈরি করতে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে।
🔸হালকা ওজনের ও কম জ্বালানি চাহিদাসম্পন্ন গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে।
🔸পানি ও বায়ু দূষণ রোধ সম্ভব হচ্ছে।
⚠️ ন্যানো প্রযুক্তির যেমন সুবিধা আছে তেমন কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন,
♦️ন্যানো টেকনোলজির অসুবিধা:
১. ন্যানো টেকনোলজি দিয়ে সার্কিট তৈরির প্রধান সমস্যা হলো স্থির বিদ্যুৎ। সাধারণ ইলেক্ট্রিক সার্কিটের মধ্যে এই স্থির বিদ্যুৎ থেকে সার্কিট কে রক্ষা করার ব্যবস্থা থাকে। যদি তা না করা হতো, তাহলে যেকোনো কারণে, স্থির বিদ্যুৎ এর জন্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু ন্যানোটেকনোলজির ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক সার্কিট কল্পনাতীত ছোট হয়ে যায়, ফলে গতানুগতিক পদ্ধতিতে রক্ষা করা সম্ভব নয়।
২. ন্যানো টেকনোলজি প্রয়োগে উৎপাদিত পণ্য ব্যয়বহুল হয়।
৩. ন্যানো-পার্টিকেল মানব-শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
৪. ন্যানো-পার্টিকেল দিয়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র তৈরি হচ্ছে, যার ব্যবহার প্রশ্নবিদ্ধ।
💠তাই, আমাদের উচিত সচেতনভাবে ন্যানো প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
📌References:
1.https://www.edupointbd.com/nanotechnology/
2.https://www-nano-gov.translate.goog/.../just-how-small-is...
.
📝Content Credit:
🖋️Written By,
Jannatul Ferdoes Maya
General Member, CUSS
Department of Zoology
Session: 2019-2020
🖼️Poster Credit:
Md. Mosfiqur Rahman
Assistant IT Secretary, CUSS
Department of Oceanography
Session: 2019-2020
CUSS sparks synergy between science and society, founded in 2018. Committed to progress, awards, and collaboration, we champion multidisciplinary initiatives. Join active members shaping a better future. Igniting change, earning accolades – CUSS is the catalyst for transformative impact.
University of Chittagong,
Chittagong, Bangladesh
cuss.cu.bd@gmail.com
+880 1521 527 569